সফেদ সাদা নূরানী চেহারার এই মহান ব্যক্তি কোন মাদ্রাসার মোহাদ্দীস কিংবা কোন মসজিদের ইমাম নন। তিনি একজন দেশ সেরা একটা কলেজের প্রভাষক ।
সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘদিন যাবত পদার্থ বিজ্ঞানের লেকচারার হিসেবে ছিলেন। তিনি নবিজীর সুন্নাহকে ভালোবেসে দৈনিক পাঞ্জাবী, টুপি পরে কলেজে ক্লাস নিতেন।
সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কোন শিক্ষক পাঞ্জাবী, টুপি পরে কলেজে ক্লাস নিতে পারবে না। অন্যান্য সকল এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তিনি এই সিদ্ধান্ত স্বাদরে গ্রহণ করেন নি। তিনি দুনিয়ার দু’টাকার চাকরির দায়ে নবীজীর সুন্নাতী লেবাস পরিবর্তন করে নিতে সম্মতি হননি।
ফলে ভাগ্যে জুটে চাকরিচ্যুতি। ইতিমধ্যে, তিনি কলেজ থেকে চাকরিহারা হয়ে আছেন!
চিন্তা করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ একটা মুসলিম দেশে ইসলামীক লেবাস-পোষাকের কি অবমূল্যায়ন ও বৈষম্য নীতি চলছে। নাস্তিক ও কথিত সুশীলদের দুশ্চিন্তা কেবল ইসলাম ও ইসলামি কালচার নিয়ে।
স্যারের জন্য মন থেকে দোয়া রইলো। আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করুক। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আশাকরি, এক্স ও রানিং ছাত্র ভাইয়েরা এই বৈষম্য নীতির প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ সহায়!