বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো।
মালকিন:বাইরে এসে…কি ব্যাপার?
বালক:বলছিলাম আন্টি,আপনার বাগানটি কি পরিস্কার করে দেবো?
মালকিন:না না কোন দরকার নেই,আর আজ সকালে তুই খবরের কাগজ দিয়ে যাসনি কেন?
বালক:-
হাত জোর করে করুন স্বরে প্লিজ আন্টি করিয়ে নিন না,খুব ভালো করে বাগানটা সাফ করে দেবো,আর আজকে কাগজ ছাপা হয়নি,কাল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ছিল।
মালকিন :একটু নরম সুরে…আচ্ছা ঠিক আছে,কতো টাকা নিবি?
বালক:টাকা লাগবে না আন্টি,শুধু খাবার দিলেই হবে।
মালকিন:ওহ, ঠিক আছে যা,খুব ভালো করে পরিস্কার করবি কিন্তু।(মনে হচ্ছে বেচারা আজ কিছু খাইনি,আগে ওকে কিছু খাওয়ানো দরকার…মালকিন চিন্তা করল)
মালকিন:এই ছেলে..এদিকে আই,আগে তুই খেয়ে নে,তারপর কাজ করিস।
বালক:না আন্টি আগে কাজ করে নিই তারপর খাবো।
মালকিন:আচ্ছা বেশ…এই বলে নিজের রুমে ঢুকলেন।
বালক:২ ঘন্টা পর “আন্টি,ও আন্টি,দেখুন না ঠিকঠাক সাফাই হয়েছে কিনা?
মালকিন :আরে বাহ্!তুই তো বাগানের আশপাশ
গুলোও ভালো করে সাফ করে দিয়েছিস।এখানে এসে বস,আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
মালকিন খাবার দিতেই বালকটি পকেট থেকে একটা পলিথিন বের করে তার মধ্যে খাবারগুলো ঢোকাতে শুরু করল।
মালকিন:পেটে প্রচুর খিদে নিয়ে কাজ করলি, খাবারটা তো এখানেই খা,লাগলে আরও দেবো।
বালক:না আন্টি,বাড়িতে মা আছে,খুব অসুস্থ।সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রিতে ওষুধ পাওয়া গেছে কিন্তু ডাক্তারবাবু খালি পেটে ওষুধ খেতে বারন করেছেন।
একথা শুনে মালকিনের চোখ ভিজে গেল।নিজের হাতে মাসুম বাচ্চাটিকে মায়ের মতো করে খাইয়ে দিলেন।তারপর বাচ্চাটির হাতে মায়ের জন্য খাবার তুলে দিয়ে নিজেও সঙ্গে গেলেন এবং বাচ্চাটির মায়ের সাথে দেখা করলেন।
মালকিন:বোন তুমি সবার চেয়ে ধনী আর ভাগ্যবান…. যে সংস্কার,যে শিক্ষা,যে দৌলত তুমি তোমার সন্তানকে দিয়েছো,সেই সংস্কার আমি সেই দৌলত আমি আমার সন্তানদের দিতে পারিনি।
অসুস্থ_মা_ছেলের পানে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল…
ছেলে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরল…..
Leave a Reply